সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ অপরাহ্ন
বাংলা নিউজডে ডেস্ক : আমরা শীতকে উপভোগ করার জন্য নানা পরিকল্পনা করে থাকি। আবার অনেকেই এই শীতেই নিদারুণ কষ্টও করে। সেই কষ্টের দৃশ্য মোবাইল ফোনে তুলে সোশাল মিডিয়া দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নে।
সম্প্রতি নাজমুল কুড়িগ্রাম নামের একজন তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। পরে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যানকে ওই বৃদ্ধার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে বলেন।
এর আগে নাজমুল তার স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘ছবিটা ১৯৭৪ সালের মহাদুর্ভিক্ষের সময়ের নয়; ২০১৯ সালের আজকের। যখন আমাদের মাথাপিছু আয় ১৯০৯ ডলার বা প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কুড়িগ্রামের ১০০ জনে ৭১ জন মানুষ যে দরিদ্র তা বোঝাতে এই ছবিটাই যথেষ্ট বলে মনে করি। আমাদের রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর এলাকায় শীতবস্ত্র দিতে গিয়ে চটের বস্তা গায়ে দিয়ে শীত নিবারনের এই চিত্রটা ধারণ করেছে এক ছোট ভাই।
তবে খোঁজ নিলে দেখা যাবে টাকার অভাবে হয়তো তার বয়ষ্ক ভাতা হয় নাই, স্বামী মারা গেলেও বিধবা ভাতা হয়তো এই “মা” পাননা কারণ ঘুষের ওই টাকা তার নাই। খড় বা সিন্ডার বেড়া দিয়ে বানানো ঘরটার গঠন দেখলেই বুঝা যায় কতোটা অসহ্য যন্ত্রণায় এতোদিন ছিলেন তিনি। সামান্য একটা কম্বলও জোগাড় হয়নি।
ধন্যবাদ কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়ন মানব কল্যাণ সংগঠনকে এ বৃদ্ধ মায়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আমরা গরিবরাই নিজেদের কষ্টের টাকায় এসব অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে থাকবো, ইনশাআল্লাহ।’
এরপর পোস্ট দেয়ার কয়েক ঘন্টা পরে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার যোবায়ের হোসেন ছিনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অসহায় সেই বিধবার বয়ষ্ক ভাতা আছে কিনা সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলেন। না থাকলে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়াসহ পরিবারের সার্বিক ব্যাপারে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
আমেরিকা, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের সর্বশেষ খবরের জন্য বাংলা নিউজডের ওয়েবসাইটে আসুন এবং আমাদের Bangla Newsday ফেসবুক পৃষ্ঠাটি সাবস্ক্রাইব করুন।